Posts

ইসলামে সালামের তাৎপর্য ও ফজিলত কুরআন ও সুন্নাহ এর আলোকে জেনে নিন

 ইসলামে যত বিধিবিধান আছে সালাম তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। ইসলামে সালামের বহু উপকারিতা ও ফজিলত আছে। আমরা মুসলমানরা পরস্পর পরস্পর দেখা হলে বলে থাকি ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’ অর্থ ‘তোমার ওপর শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক।’ অপর ভাই জবাবে বলে ‘ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ’ অর্থ : ‘তোমার ওপরও শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক।’ কত সুন্দর অভ্যর্থনা। কেউ সালাম দিলে তার জবাব উত্তমভাবে দেওয়ার জন্য স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন : যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয় (সালাম দেওয়া হয়), তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন কর অথবা ওরই অনুরূপ কর। (সূরা নিসা ৮৬ আয়াত)। সালামের প্রচলন আমাদের আদি পিতা হযরত আদম আলাহিস সালামের থেকেই শুরু হয়েছে যেমন হাদিসে এসেছে, “হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা আদম (আ.)-কে তাঁর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর উচ্চতা ছিল ষাট হাত। আল্লাহ তা’আলা তাঁকে সৃষ্টি করে বলেন, যাও এবং অবস্থানরত ফেরেশতাদের ঐ দলটিকে সালাম করো। আর তাঁরা তোমার সালামের উত্তরে কি বলে ত...

দরূদ শরীফ পাঠের ফজিলত ও প্রয়োজনীয়তা

 ফার্সি শব্দ দরুদ। আরবিতে সালাত। সালাত শব্দের বহু অর্থ। আভিধানিক বিবেচনায় নামাজ, দোয়া, ইস্তেগফার, রহমত ইত্যাদির সবগুলোই সালাত অর্থে ব্যবহার হয়। তবে ইসলামের প্রচলিত পরিভাষায়, সালাত বলতে নামাজকেই বোঝায়। আর সালাত শব্দটি দ্বারা যখন প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বুঝায় অর্থ্যাৎ ‘সালাত আলান নবী’ বললে এর অর্থ দাঁড়ায়, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ শরীফ। এই দরুদ শরীফই অত্র লেখার প্রতিপাদ্য বিষয়। মুসলমানদের জন্য রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করা সকল ইবাদতের চেয়ে উত্তম। ফেরেশতাগণ ও ঈমানদারকে নবীর প্রতি দরূদ পড়ার নির্দেশ আল্লাহতায়ালা নিজেই দিয়েছেন। নবীর প্রতি দরূদ পড়ার অর্থই হলো- আল্লাহর আদেশের বাস্তবায়ন ও হুকুম পালন করা। আল্লাহতায়ালার নির্দেশ হলো, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীর প্রতি সালাত-দরূদ পেশ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তার প্রতি সালাত পেশ করো এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ (সূরা আহজাব : ৫৬)। দুরূদ শরীফ সমস্ত বিধানের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম কাজ। কেননা, আল্লাহ্ তা‘আলা কোন বিধানে নিজের ও নিজের ফিরিশতাদে...

নামাজে মনোযোগ ধরে রাখার উপায়

Image
নামাজে মনোযোগ ধরে রাখার উপায় জিজ্ঞাসা-৫৪: আমি যখন নামাজ পড়ি তখনই আমার মাথায় বাজে চিন্তা-ভাবনা আসে। যেমন আমি আজ সারাদিন কী করেছি ,কালকে কী করব ইত্যাদি। কাজের কারণ বেশি সময় বাহিরে রাস্তায় চলাচল করে থাকি।তো অনেক কিছুই দেখি নামাজে এইসব কথা মনে পড়ে। অনেক সময় ভুলে যাই কয় রাকাত নামাজ পড়েছি, এসব যাতে মনে না পড়ে সেজন্য আমি কী করতে পারি? জানালে উপকৃত হব। জবাব:এটা এক তিক্ত বাস্তবতা যে,  আমরা অনেকেই এই রোগের স্বীকার। এক হাদীসে রাসূললুল্লাহ (সাঃ) এটিকে ‘শয়তানের ছিনতাইকম’ বলেছেন। এব্যাপারে ইমাম আবু হামিদ আল গাজালি(রহ.) তাঁর বিখ্যাত ‘এহইয়াউ উলুমিদ্দীন’ গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তিনি ছয়টি বিষয়ের কথা বর্ণনা করেন, যা না থাকলে নামাজে  মনোযোগী হওয়া যায় না। প্রথম বিষয় : নামাজে ‘হুজুরে দিল’ বা একাগ্র থাকা ; এটি নামাজের প্রাণ। রাসূললুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর ইবাদত কর এমনভাবে, যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন।’  (বুখারি হা/৫০; মুসলিম হা/৮; মিশকাত হা/২) বস্তুত আমাদের মন কখনো বেকার থাকে না; হয় নামাজে থাকে, না হয় অন্যত্র থাকে। নামাজে ...

সকল সহিহ হাদিস বই PDF Download এক সাথে

Image
হাদিস শরীফ: hadith in bangla হাদীস বিষয়ক কিতাব গুলির মধ্য থেকে আপনার পছন্দের pdf বইটি ডাউনলোড করতে, নিচে নামের উপর ক্লিক করুন। বুখারী শরীফ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ▶ বুখারী শরীফ একত্রে.zip ১।  বুখারী শরীফ ১ম খণ্ড ২।  বুখারী শরীফ ২য় খণ্ড ৩।  বুখারী শরীফ ৩য় খণ্ড ৪।  বুখারী শরীফ ৪র্থ খণ্ড ৫।  বুখারী শরীফ ৫ম খণ্ড ৬।  বুখারী শরীফ ৬ষ্ঠ খণ্ড ৭।  বুখারী শরীফ ৭ম খণ্ড ৮।  বুখারী শরীফ ৮ম খণ্ড ৯।  বুখারী শরীফ ৯ম খণ্ড ১০।  বুখারী শরীফ ১০ম খণ্ড তাওহীদ পাবলিকেশন্স কর্তৃক প্রকাশিত ▶ সহীহুল বুখারী একত্রে.zip ১।  সহীহুল বুখারী ১ম খণ্ড ২।  সহীহুল বুখারী ২য় খণ্ড ৩।  সহীহুল বুখারী ৩য় খণ্ড ৪।  সহীহুল বুখারী ৪র্থ খণ্ড ৫।  সহীহুল বুখারী ৫ম খণ্ড ৬।  সহীহুল বুখারী ৬ষ্ঠ খণ্ড  আধুনিক প্রকাশনী কর্তৃক প্রকাশিত ▶ সহীহ আল বুখারী একত্রে.zip ১।  সহীহ আল বুখারী ১ম খণ্ড ২।  সহীহ আল বুখারী ২য় খণ্ড ৩।  সহীহ আল বুখারী ৩য় খণ্ড ৪।  সহী...