নামাজে মনোযোগ ধরে রাখার উপায়

নামাজে মনোযোগ ধরে রাখার উপায়

জিজ্ঞাসা-৫৪: আমি যখন নামাজ পড়ি তখনই আমার মাথায় বাজে চিন্তা-ভাবনা আসে। যেমন আমি আজ সারাদিন কী করেছি ,কালকে কী করব ইত্যাদি। কাজের কারণ বেশি সময় বাহিরে রাস্তায় চলাচল করে থাকি।তো অনেক কিছুই দেখি নামাজে এইসব কথা মনে পড়ে। অনেক সময় ভুলে যাই কয় রাকাত নামাজ পড়েছি, এসব যাতে মনে না পড়ে সেজন্য আমি কী করতে পারি? জানালে উপকৃত হব।

জবাব:এটা এক তিক্ত বাস্তবতা যে,  আমরা অনেকেই এই রোগের স্বীকার। এক হাদীসে রাসূললুল্লাহ (সাঃ) এটিকে ‘শয়তানের ছিনতাইকম’ বলেছেন। এব্যাপারে ইমাম আবু হামিদ আল গাজালি(রহ.) তাঁর বিখ্যাত ‘এহইয়াউ উলুমিদ্দীন’ গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তিনি ছয়টি বিষয়ের কথা বর্ণনা করেন, যা না থাকলে নামাজে  মনোযোগী হওয়া যায় না।

প্রথম বিষয় : নামাজে ‘হুজুরে দিল’ বা একাগ্র থাকা ; এটি নামাজের প্রাণ। রাসূললুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর ইবাদত কর এমনভাবে, যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন।’  (বুখারি হা/৫০; মুসলিম হা/৮; মিশকাত হা/২)
বস্তুত আমাদের মন কখনো বেকার থাকে না; হয় নামাজে থাকে, না হয় অন্যত্র থাকে। নামাজে দাঁড়ালে শয়তান বারবার মানুষের মন ছিনিয়ে নিয়ে যেতে চায়, কিন্তু আমাদেরকে তা ধরে রাখতে হয়। সুতরাং নামাজের শুরু থেকে শেষ পযন্ত এই কল্পনা (মুখে উচ্ছারণ ব্যতিরেকে) ধরে রাখার অনুশীলন করুন যে,’আল্লাহ আমাকে দেখছেন’।  দাঁড়ানো থেকে রুকুতে যাবার আগে, রুকু থেকে সিজদায় যাবার আগে কিংবা সিজদা থেকে বসার আগে, প্রত্যেক অবস্থান পরিবর্তনের পূর্বে মনের অবস্থাটা দেখে নিন যে, কল্পনাটা আছে কিনা। না থাকলে আবার নিয়ে আসুন। এভাবে এই অনুশীলনের মাধ্যমে নামাজ শেষ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘যে সুন্দরভাবে অজু করে, অতঃপর মন ও শরীর একত্র করে (একাগ্রতার সাথে) দু’রাকআত নামাজ আদায় করে, (অন্য বর্ণনায় এসেছে- যে নামাজে ওয়াসওয়াসা স্থান পায় না) তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। (অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়)।  (নাসাঈ হা/১৫১; বুখারি হা/১৯৩৪; মিশকাত হা/২৮৭)

দ্বিতীয় বিষয় : নামাজে যা কিছু পাঠ করা হয় তা বিশুদ্ধ উচ্ছারণে পড়ার চেষ্টা করুন।এটি অন্তরের উপস্থিতিকে আরো দৃঢ় করে। অন্তত সূরা ফাতিহা ও তাসবীহগুলোর অর্থ বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন।আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘স্পষ্টভাবে ধীরে ধীরে কুরআন তেলাওয়াত কর।’ (মুযযাম্মিল ৪) রাসূললুল্লাহ (সাঃ) প্রতিটি সূরা তারতীল সহকারে তেলাওয়াত করতেন। (মুসলিম হা/৭৩৩, তিরমিযী হা/৩৭৩)এ ব্যাপারে রাসূললুল্লাহ (সাঃ) এর নিম্নোক্ত হাদিসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি নামাজ কে আমার এবং আমার বান্দার মাঝে দু’ভাগে ভাগ করেছি। বান্দা আমার কাছে যা কামনা করবে তাই পাবে। যখন আমার বান্দা বলে, (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি সারা জাহানের মালিক)। তখন আল্লাহ বলেন, (বান্দা আমার প্রশংসা করল)। যখন বলে, (পরম করুণাময় অসীম দয়াবান) আল্লাহ বলেন, (বান্দা আমার গুণগান করল)। যখন বলে, (বিচার দিবসের মালিক) আল্লাহ বলেন, (বান্দা আমার যথাযথ মর্যাদা দান করল)। যখন বলে, (আমরা কেবলমাত্র আপনারই ইবাদত করি এবং কেবলমাত্র আপনারই সাহায্য প্রার্থনা করি)। আল্লাহ বলেন, (এটি আমার ও আমার বান্দার মাঝে, আর আমার বান্দা যা চাইবে, তাই পাবে)। যখন বলে, (আপনি আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করুন। এমন ব্যক্তিদের পথ, যাদেরকে আপনি পুরস্কৃত করেছেন। তাদের পথ নয়, যারা অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট হয়েছে)। আল্লাহ তাআলা বলেন, (এটা আমার বান্দার জন্য, আর আমার বান্দা যা প্রার্থনা করবে তাই পাবে)।  (মুসলিম হা/৩৯৫; মিশকাত হা/৮২৩)

তৃতীয় বিষয় : নামাজে  আল্লাহর প্রতি ‘তাযীম’ বা ভক্তি-শ্রদ্ধা প্রদর্শন করুন।কেননা, আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা আল্লাহর সম্মুখে দণ্ডায়মান হও বিনীতভাবে’ (বাকারাহ ২/২৩৮) কাজেই ধীর-স্থিরতা অবলম্বন করুন। আবু কাতাদা (রা.)হতে বর্ণিত, রাসূললুল্লাহ (সাঃ)বলেন, ‘নিকৃষ্টতম চোর হল সেই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! নামাজে কিভাবে চুরি করে?  তিনি বললেন, ‘যে রুকু-সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করে না’।  (আহমাদ ; মিশকাত হা/৮৮৫ )
চতুর্থ বিষয় : নামাজে  দাঁড়িয়ে আল্লাহতায়ালাকে ভয় করুন। ভাবুন, এই নামাজই হয়তোবা আপনার জীবনের শেষ নামাজ। রাসূললুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকটে জনৈক ব্যক্তি সংক্ষিপ্ত উপদেশ কামনা করলে তিনি তাকে বললেন, ‘যখন তুমি নামাজে দন্ডায়মান হবে, তখন এমনভাবে নামাজ আদায় কর, যেন এটিই তোমার জীবনের শেষ নামাজ’। (ইবনু মাজাহ; মিশকাত হা/৫২২৬, সনদ হাসান)

পঞ্চম বিষয় : নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে কল্যাণ আশা করুন। আল্লাহতায়ালা বলেন-‘তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর’ (সূরা বাক্বারা-৪৫)।এই বিশ্বাস রাখুন, আল্লাহ আমার প্রতিটি প্রার্থনায় সাড়া দিচ্ছেন। রাসূললুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ নামাজে দাঁড়ালে সে মূলত তার প্রভুর সাথে কথোপকথন করে। তাই সে যেন দেখে, কিভাবে সে কথোপকথন করছে’।  (মুস্তাদরাক হাকেম; সহিহুল জামে‘ হা/১৫৩৮)

ষষ্ঠ বিষয় : নামাজে  নিজের গুনাহর কথা চিন্তা করে আল্লাহর সামনে দন্ডায়মান হওয়ার কথা ভেবে নিজের মাঝে ‘হায়া’ বা লজ্জাশরম নিয়ে আসুন। দন্ডায়মান অবস্থায় একজন অপরাধীর মত মস্তক অবনত রেখে এবং দৃষ্টিকে সিজদার স্থানের দিকে নিবদ্ধ রাখুন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) (দাঁড়ানো অবস্থায়) সিজদার জায়গায় দৃষ্টি রাখতেন। (দেখুন : তাফসীরে তবারী ৯/১৯৭)

উপরের ছয়টি বিষয় অনুসরণ করলে নামাজে মনোযোগ তৈরি হবে। ইনশাআল্লাহ। এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ). বলেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজের সময় হলে সুন্দরভাবে ওযূ করে এবং একাগ্রতার সাথে সুন্দরভাবে রুকূ-সিজদা করে নামাজ  আদায় করে, তার এ নামাজ  পূর্বের সকল গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে কোন কবিরা গুনাহে লিপ্ত হয়। আর এ সুযোগ তার সারা জীবনের জন্য।’ (মুসলিম হা/২২৮; মিশকাত হা/২৮৬)

আল্লাহ আমাদের সকলকে নামাজ আল্লাহর পছন্দ মোতাবেক আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী
iNFO sOURCE-http://quranerjyoti.com


সালাতে মনোযোগী হওয়ার বৈজ্ঞানিক উপায় ১০০% কার্যকরী ইনশাআল্লাহ

সালাতে মনোযোগী হওয়ার উপায়ঃ
আপনার জীবনে কি এমন হয়েছে, আপনি সালাতে দাঁড়িয়েছে আর আপনার মনে পরেছে আগামি কাল ভার্সিটিয়ে প্রেজেন্টেশন আছে, আগামি পরশু ২টা কুইজ সাথে এসাইন্মেন্ট, অথবা অমুকের কাছ থেকে টাকা নিতে হবে, মোবাইলে ফ্লেকজি করতে হবে, বন্ধুর সাথে দেখা করতে হবে। আসলে এমন ঘটনা প্রায় আমাদের সকলের জীবনেই নিয়মিতই ঘটে আসছে। কিন্তু কেন এমন হয়। কিভাবে সালাতে সম্পূর্ণ মনোযোগী হওয়া যায়। আজকের এই ভিডিওতে আমি এমন কিছু আইডিয়া শেয়ার করব যাতে আমরা এই অমনোযোগিতাকেই পুজি করে মনোযোগি হতে পারি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।


১। কন্ট্রোল ইউর ব্রেইন
 মানুষের ব্রেইন মহান আল্লাহ তা’আলার এক আজব সৃষ্টি। যা বর্তমান পৃথিবীর সর্বাধীক ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটারের চেয়ে কমপক্ষে দশ লক্ষগুন বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন। আর এই বিশাল ব্রেইন কেই কাজে লাগিয়ে আমরা সালাতে মনোযোগি হতে পারি। কিভাবে?

আমারা যখন সালাতে দাড়াই তখন সুরা ফাতিহা বলি। পরে অন্য কোন সুরা মিলাই। আর আমাদের ব্রেইন এখানে শুধু একটি মাত্র কাজে ব্যাস্ত থাকে। আর দীর্ঘদিন এভাবে চলার কারনে আমাদের ব্রেইন এই কাজে পটু হয়ে গেছে। যার ফলে সে এই কাজটী কারার সাথে সাথে দ্বিতিয় কাজ হিসেবে বিভিন্ন চিন্তা করতে ব্যাস্ত থাকে। এখন আমরা যদি একটু বুদ্ধি করে আমাদের ব্রেইন কে তার দ্বিতীয় কাজ হিসেবে অযথা চিন্তা করার সময় না দিয়ে আমাদের পাঠিত সুরা গুলোর অনুবাদে ব্যাস্ত রাখতে পারি তাহলেই দেখা যাবে আমাদের সালাতে অনেকটাই মনোযোগ চলে এসেছে। যেমন ধরূন, আপনি বললেনঃ আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। এটি বলার সাথে সাথেই আপনি আপনার ব্রেইন কে বললেন এটার অনুবাদ কর। সকল প্রসংসা আল্লাহ তা’আলার। এর পর বললেনঃ আর রহমানির রহিম। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। মালিকিয়াও মিদ্দিন। যিনি বিচার দিনের মালিক। এভাবে আমাদের ব্রেইন কে দ্বিতীয় একটি কাজে ব্যাস্ত রাখতে হবে। প্রথমে একটু কষ্ট হলেও পরবর্তীতে আপনি একদিকে সুরা বলবেন অন্যদিকে ব্রেইন তার দ্বিতীয় কাজ হিসেবে সাথে সাথেই তার অনুবাদ করতে থাকবে। আর আপনি দেখবেন যে আপনার সালাতে মনোযোগ চলে আসবে ইনশাআল্লাহ। আর হ্যা এর জন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার পাঠিত সূরার অনুবাদ জানতে হবে। আর একাজটি একদম সহজ। একটি ছোট সূরার অনুবাদ ৫-৭ বার পরলেই হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ...।

২। সালাতের গুরুত্ব অনুধাবন করা
ধরূন একটি লোক গাছের যে ডালে বসে আছে সেই ডালটিই কাটছে। একটু পরে সে মাটিতে পড়ে হাত পা ভেঙ্গে হাসপাতালে চলে গেল। এখন আমি যদি বলি সেতো পরিশ্রম করেছে তাহলে কেন মানুষ তাকে বোকা বলবে আর কেনই বা সে ফলাফল হিসেবে আহত হয়ে হাসপাতালে যাবে। কারন সে পরিশ্রম করেছে ঠিকি কিন্তু সঠিক পথে না করায় এমন হয়েছে। তাহলে শুধু সালাত আদায় করলেই সে জান্নাতে যাবে তা নয় বরং সালাতের গুরুত্ব বুঝে যথাযথ নিয়মে আদায় করতে হবে। অন্যথায় ওই ব্যাক্তির মত ফলাফল হিসেবে জাহান্নামের আঘাত সইতে হবে। কারন আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ অতএব, দূর্ভোগ ওই সকল মুসল্লিদের জন্য যারা তাদের সালাতের বিষয়ে উদাসিন। সুরা মাউনঃ ৪-৫ তিনি আরো বলেনঃ
তারা যখন নামাজে দাঁড়ায় তখন তারা রোগাক্রান্ত ব্যক্তির মত শিথিলচিত্তে দাঁড়ায়, তারা লোকদের দেখানোর জন্যই নামাজে দাঁড়ায় এবং আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে।" (৪:১৪২)

অতএব, আল্লাহ তা’আলা এখানে  মুনাফেক নামাজিদের কথা বলতে গিয়ে বললেনঃ তারা আল্লাহ কে খুব কমই স্বরণ করে। অনেকেই সালাত শেষ করে বলে হায় আল্লাহ সালাত শেষ। কারণ সে সালাতের গুরুত্ব বুঝে সেমত তা আদায় করতে পারে নি। তাই তার এই সালাতি তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে কারন মুনাফেকের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্থরে। অতএব আমাদের ব্রেইনে এই ম্যাসেজ পাঠাতে হবে যে , আমি সালাত আদায় করছি আল্লাহকে খুশি করার মাধ্যমে জান্নাত পাওয়ার জন্য। অন্যথায় এই সালাতি আমাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।

৩। কবরের চিন্তা করা
পৃথিবীতে সে হোক ইয়াহুদি, খ্রিষ্টান, হিন্দু বৌদ্ধ, মুসলিম অথাব নাস্তিক সবাই একটী কথা মেনে নিয়েছে যে তাকে মৃত্যু বরণ করতেই হবে। আর প্রত্যেক ব্যাক্তির ব্রেনেই নামক হার্ডডিক্সে এই সফটওয়্যার টি চরস্থায়ী  ইনষ্টল করা আছে। যার কারনে মানুষের কবরের চিন্তা করলেই সে দুনিয়া থেকে কিছু সময়ের জন্য নিজেকে আলাদা করতে পারে। কারণ তার মনে পরে দুনিয়াতে তার বাবা, মা, ভাই, বোন বন্ধু বান্ধব প্রিয় জন অনেকেই আছে। কিন্তু কেউ সেই বাশ বাগানের নিচে, অন্ধকার, একাকিত্যের ঘরে তার সাথী হবে না তাকে একাই সেখানে থাকতে হবে। যার ফলে সে নিজেকে ক্ষনিকের জন্য হলেও পরকালের জন্য প্রস্তুত করে।

তাই সালাতের শুরুতেই আপনার ব্রেইনে এই ম্যাসেজ পাঠিয়ে দিন যে, আপনার এই সালাত আপনাকে কবরে অন্ধ ও বধীর আযাবের ফেরেস্তা হতে রক্ষা করবে, এই সালাতের মাধ্যমেই আপনি জাহান্নামের কঠিন শাস্থি থেকে রক্ষা পাবেন, এই সালাতের মাধ্যমেই আপনি জান্নাত যেতে চান। তাহলেই দেখবেন আপনি পূর্বের তুলনায় অনেক  তৃপ্তি সহকারে সালাত আদায় করতে পারছেন।

৪। আল্লাহ তা’আলাকে একমাত্র দর্শক মনে করা
আচ্ছা ধরুন আপনি সালাত আদায় করছেন আর আপনার সামনে মক্কার ইমাম আব্দুর রহমান আল সুদাইস বসে আছে। তখন আপনি কিভাবে তার সামনে সালাত আদায় করবেন নিশ্চয়ই আপনার পূর্বের সালাতের তুলনায় তা হবে অধিক সুন্দর থাকবে অধিক খুযুখুশু। অথচ মহান আল্লাহ তা’আলা আপনাকে সর্ব অবস্থায়, সবসময় তার দৃষ্টির মাঝে রেখেছেন। একবার ও কি চিন্তা করেছেন, কাবার ইমামের সামনে যতটা খুসুখুযু
সহ সালাত আদায় করেছেন, সেই কাবার মালিকের সামনে তার চেয়ে কতগুন খুজুখুসু সহকারে সালাত আদায় করতে হবে।
  রাসূললুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর ইবাদত কর এমনভাবে, যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন।’  (বুখারি হা/৫০; মুসলিম হা/৮; মিশকাত হা/২)
তাহলে আপনাকে এমনভাবে সালাত আদায় করতে হবে যেন, আপনি সয়ং আল্লাহ তা’আলার সামনে সালাত আদায় করছে, বুঝুন আপনার সালাতের দর্শক কিন্তু সয়ং আপনার সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তা’আলা।অত এব আপনাকে অবশ্যই আপনার এই সালাতের মাধ্যমেই তাকে সন্তুষ্ট করতে হবে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে পরিপূর্ণ ইখলাসের সহিত তার ইবাদত করার তৌফিক দান করন...আমিন।
এখন সম্পূর্ন ভিডিওটি সাম আপ করলে দাঁড়ায়।

১। আপনার ব্রেইনকে দ্বিতীয় কাজে অর্থাৎ অনুবাদের কাজে বিজি রাখা

২। সালাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে তা আদায় করা যাতে এমন না হয় যে একদিকে পরিশ্রম করলেন আর তার ফলে জাহান্নামে যেতে হল।

৩। কবরকে স্বরণ করা

৪। নিজেকে আল্লাহর সামনে মনে করা।


এই ৪ টি কাজ যদি আপনি ঠিকঠাক মত করতে পারেন তবে আপনি অধিক মনোযোগ সহ সালাত আদায় করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। এছাড়াও সালাতে মনোযোগী হবার ব্যাপারে আরও কিছু টিপস আছে যা আগামি ভিডিও তে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। 

Comments

Popular posts from this blog

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের রাকাআত সংখ্যা, কত প্রকার ও কি কি

সকল সহিহ হাদিস বই PDF Download এক সাথে

নামাজে আমরা যা বলি, তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা